নিজস্ব প্রতিবেদক: গত কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন গনমাধ্যমে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের  তথ্যে কয়েকজন কর্মকর্তার কানাডায় যাতায়াত এবং তাদের বর্তমানে সেখানে অবস্থানকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। যেখানে বেবিচকের একজন প্রকৌশলী থেকে শুরু করে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল খালেকের নামও এসেছে। গনমাধ্যমগুলোতে আরো সংবাদ প্রকাশ করে যে অনেকের মত আব্দুল খালেকও বহু টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় যুব দিয়েছে। ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদক কানাডায় আব্দুল খালেকের সাথে যোগযোগ করলে বেবিচকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল খালেক বলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে যে সংবাদগুলো প্রকাশ হচ্ছে তা পুরোটা সঠিক কিনা তার জানা নেই। তবে তার বিষয়ে যে সংবাদ প্রচার হচ্ছে সেইসব তথ্য একেবারেই সঠিক নয়।

 

প্রতিবেদককে আব্দুল খালেক জানান ১ লা জানুয়ারী ২০২১তে করোনা ভাইরাস এ আক্রন্ত হয়ে তিনি প্রথমে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ভর্তি হন, পরে অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় আব্দুল খালেক জানুয়ারীর ৩ তারিখে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত হন নিবিড় করোনারি ইউনিটে। সেখানে স্কয়ারে হাসপাতালের আকাশ চুম্বি খরচ মিটাতে না পারায় তিনি বন্ধুবান্ধব থেকে ধার ও সরকার অর্থ্যাৎ বেবিচকের কাছে আংশিক আর্থিক সাহায্য নেন। দীর্ঘ দিন স্কয়ারে চিকিৎসার পর স্কোয়ারের খরচ সামলাতে না পেরে, টাকার অভাবে পুরাপুরি সুস্থ না হয়েই ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসের ২৭ তারিখে হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাদ্ধ্যহন।

আব্দুল খালেক প্রতিবেদককে বলেন করোনার কারণে তাঁর হার্টের অর্ধেক পচে যাওয়া এবং পরবর্তী নানান উপসর্গ দেখা দেয়ায় মাঝে মাঝেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এর মধ্যে তিনি তার অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে কানাডায় যান। এবং করোনার পরবর্তী উপসর্গর কারণে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসরত আছেন।

কিন্তু এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে তার কর্মস্থলের কয়েকজন ইর্ষান্বীত হয়ে বর্তমান রাজনৈতিক দলের কর্মীসহ বাহিরের শত্রূরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে তাকে চাকরীভূত করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করার ষড়যন্ত্র করছে।

আব্দুল খালেক জানান তিনি কর্মরত অবস্থায় ক্ষমতাধর বহু চোরাচালানী সদস্যদের আটক করেন, যারা তার অফিসের কর্মচারীদের ও সরকার দলীয় সদ্যসদের সাথেও জড়িত ছিল। এবং তারা আব্দুল খালেককে মারধর ও জীবননাসের চেষ্টাও করে।

অথচ এই অফিসের সহকর্মীরা সবাই জানেন তাঁর করোনায় হার্টের অর্ধেক পচে যাওয়ার ঘটনা এবং এর পরবর্তী নানান উপসর্গ দেখা দেয়ার বিষয়টিও। যার কারনে আব্দুল খালেক মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে আব্দুল খালেক তার অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে বিদেশে যান এবং বর্তমানে সেখানে চিকিৎসরত আছেন।

আব্দুল খালেক বলেন গত ১২ই জানুয়ারী ২০২২ সালে তার ছুটি শেষ হওয়ার আগেই দশ জানুয়ারী তার ছুটি বাড়ানোর আবেদন করেন, বিদেশে তার স্টেটাস এর কারণে ডাক্তার দেখাতে পারেননি। তাই ছুটি বর্ধিত করার অবদানের সাথে ডাক্তারের কোনো ডকুমেন্ট দিতে পারেননি। বেবিচক কর্মকর্তা আব্দুল খালেক বলেন সমস্ত কিছু জানার পরও মানবিকতা বহির্ভূত ভাবে ও নিয়ম নীতি পালন না করে ২৬ সে এপ্রিল ২০২২ তারিখে বিভাগীয় মামলা শুরু হয়। যেটাতে তিনি ষড়যন্ত্রের আলামত পাচ্ছেন।

তিনি বলেন তিনি নিয়মিত ভাবে ছুটি নিয়ে কানাডা যান। এবং দুটি ডাক্তারের পরমর্শে ভ্রমণ তিনি ভ্রমন বাতিল করেন। আব্দুল খালেক বলেন তিনি আইন মোতাবেকই বেবিচকের কাছে ছুটির আর্জি করেছেন।

আব্দুল খালেক বলেন এর আগেও ২০১১ সালের ৩১ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর টার্মিনাল-২ এর বাহিরে সুপার ভাইজ করার সময় তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় একটি চক্রের সদস্য। কারন সোনা চোরাচালানকারীদের কাছে এক আংক ছিলো আব্দুল খালেক নামে। শুধু তাই নয় সে সময় তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে যেয়ে পায়ে ও হাতের চিকিৎসা করেন তিনি।
ঘটনাটি নিয়ে পরবর্তীতে সাধারন ডায়েরী করাহয় কয়েকজন বিবাদীর নামে।

যাদের মধ্যে রয়েছে বিবাদী ১। মো: সাঈদ করিম (৩৫), পিতা: মৃত আঃ করিম, ২। সাঈদুল আলম(৩২), পিতা: জাফর আলম, ৩। কামরুল হাসান (৩৪), পিতা: ইমরুল মিয়া, ৪। মো: আল-আমিন (৩০), পিতা: অজ্ঞাত, ৫। মোঃ লোকমান (৩১), পিতা: অজ্ঞাত, ৬। মো: আরিফ (৩০), পিতা: অজ্ঞাত, ৭। মো: জাহিদ (৩০), পিতা: অজ্ঞাত, ৩৫ বাড্ডা নতুন বাজার বাড্ডা ঢাকা। আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন ।

তাছাড়া ২০২১ সালের ১১ মার্চ বিকেলে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে অভিযুক্তরাই তাদের লোক দিয়ে আব্দুল খালেককে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দেয়। কারন অভিযুক্তদের অবৈধ মালামাল জব্দ করে কাস্টমসে এবং বিমানবন্দর থানায় জমা দেওয়া হয় বলে। তারপরও বিষয়টি সাথে সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিমানবন্দর থানায় টেলিফোনে জানালেও তারা বিষয়টি দেখবে বলে জানায়, পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ ও থানা বিষয়টি কোন পদক্ষেপ নেয় নাই।

তাছাড়া তিনি প্রতিবেদকের কাছে জানান ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল বিকেলে তার স্ত্রী শায়কা জামাল ও দুই ছেলে সাকসান কে রহমান ও সুসান কে রহমান কে স্কুল থেকে আনার সময় রাস্তায় দাড় করিয়ে হুমকি ও গালাগাল করেছে অভিযুক্তরা। সেদিন তিনি এবং তার পরিবার সত্যিকার অর্থে অনেক ভয় পান। বেবিচক কর্মকর্তা আব্দুল খালেক বলেন তিনি নিশ্চিত তার শত্রুরাই তার বিরুদ্ধে এই জাতীয় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করছে। তিনি বলেন বেবিচক সর্বচ্চ প্রতিষ্ঠান তার। বেবিচকে তিনি নিষ্ঠার সাথে সারাজীব কাজ করেছেন এবং পরবর্তীতে করে যাবেন। শারীরিক সুস্থতা পেলেই তিনি আইনগতভাবে সকল ষড়যন্ত্রে জবাব দেবেন বলে জানান আব্দুল খালেক।

Leave a Response